প্রশ্ন : শীতের সময় ঠোঁট ফাটা রোধে অনেকেই লিপজেল ব্যবহার করে। আমি মুহতারামের নিকট জানতে চাই, ঠোঁটে লিপজেল লাগানো অবস্থায় অজু করলে কি অজু শুদ্ধ হবে?
উত্তর : বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম।
অজুতে যে অঙ্গগুলো ধোয়া ফরজ, অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সে অঙ্গগুলোর প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছানো জরুরি। পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়—এমন কোনো পদার্থ সে সকল অঙ্গের কোথাও থাকলে অজু করার সময় তা দূর করে নেওয়া জরুরি। এমন কিছু থাকাবস্থায় অজু করলে অজু শুদ্ধ হবে না। ইমাম শুরুমবুলালি রহ. বলেন,
ولا بد من زوال ما يمنع من وصول الماء للجسد كشمع وعجين
অর্থাৎ, যে জিনিস দেহে পানি পৌঁছানোয় প্রতিবন্ধক হয়, যেমন মোম, খামিরা ইত্যাদি— অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য তা দূর করা আবশ্যক। [মারাকিল ফালাহ, পৃ. ৪৫]
তবে যে জিনিস পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়, কিন্তু তৈলাক্ততার কারণে অঙ্গে পানি স্থির থাকতে দেয় না, তা অজু শুদ্ধ হওয়ার পথে অন্তরায় নয়। এমন জিনিস-সহ অজু করলে অজু শুদ্ধ হয়ে যায়। ইবনে আবিদিন শামি রহ. ইমাম মাকদিসি রহ.-এর বরাতে উদ্ধৃত করেন,
دَهَنَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ تَوَضَّأَ وَأَمَرَّ الْمَاءَ عَلَى رِجْلَيْهِ وَلَمْ يَقْبَلْ الْمَاءَ لِلدُّسُومَةِ جَازَ
অর্থাৎ, কেউ যদি পায়ে তেল লাগিয়ে অজু করে এবং পায়ে পানি ঢালে, কিন্তু তেলের পিচ্ছিলতার কারণে পানি পায়ে স্থির না থাকে, তবুও অজু শুদ্ধ হবে। [রাদ্দুল মুহতার, ১/১৫৪]
আর বলা বাহুল্য, লিপজেল, লোশন প্রভৃতি পানিকে অঙ্গে স্থির হতে না দিলেও তা পানি পৌঁছানোয় প্রতিবন্ধক হয় না। তাই লিপজেল-সহ অজু করলেও অজু শুদ্ধ হয়ে যাবে।
আরও দ্রষ্টব্য, ফাতহুল কাদির, ১/২০, দুরারুল হুক্কাম, ১/১০, আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যা, ১/৫
১২২ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২১৭ টি প্রশ্ন আছে
২৪ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
৩৩ টি প্রশ্ন আছে
৫৮ টি প্রশ্ন আছে
৬৩ টি প্রশ্ন আছে
১৪১ টি প্রশ্ন আছে
২১৯ টি প্রশ্ন আছে
৮৪ টি প্রশ্ন আছে