প্রশ্ন : আমার এক বন্ধু একটি দোকান করেছে। তার মূল পুঁজি ছিল তিন লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে তার প্রয়োজনে আমি তার ব্যবসায় দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করি। আমাদের মধ্যে চুক্তি হয় যে, আমি ব্যবসায়ের জন্য শ্রম দেবো না, বরং শ্রম শুধুমাত্র আমার বন্ধুই দেবে। আর দোকানের সব খরচ বাদ দিয়ে যা লাভ থাকবে, তা আমরা সমানভাবে ভাগ করে নেব। আমার এই বিনিয়োগ শরিয়তসম্মত হয়েছে কি না—দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর : বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
যৌথ মূলধনী ব্যবসায় যে শ্রম না দিয়ে শুধু মূলধন বিনিয়োগ করে, তার জন্য মূলধনের অনুপাতের চেয়ে বেশি লাভ গ্রহণ করা শরিয়তসম্মত নয়। আল্লামা ইবনে নুজাইম রহ. উদ্ধৃত করেন,
وَإِنْ شَرَطَا الرِّبْحَ لِلْعَامِلِ أَكْثَرَ مِنْ رَأْسِ مَالِهِ يَصِحُّ الشَّرْطُ... وَلَوْ شَرَطَا الرِّبْحَ لِلدَّافِعِ أَكْثَرَ مِنْ رَأْسِ مَالِهِ لَمْ يَصِحَّ الشَّرْطُ
অর্থাৎ, যদি শ্রমদাতার জন্য মূলধনের অনুপাতের চেয়ে বেশি লভ্যাংশের শর্ত করা হয়, তবে সে শর্ত শুদ্ধ হবে।...আর যদি শুধু অর্থ বিনিয়োগকারীর জন্য মূলধনের অনুপাতের চেয়ে বেশি লভ্যাংশের শর্ত করা হয়, তবে উক্ত শর্ত শুদ্ধ হবে না। [আল-আশবাহ ওয়ান নাজায়ির, পৃ. ৬১]
প্রশ্নের বর্ণনা মোতাবেক ব্যবসায়ের জন্য আপনার বন্ধু তিন লক্ষ টাকা আর আপনি দুই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। অর্থাৎ আপনার বিনিয়োগ মোট মূলধনের ৪০ শতাংশ, আর আপনার বন্ধুর বিনিয়োগ ৬০ শতাংশ। আর আপনি ব্যবসায়ের জন্য শ্রমও দিচ্ছেন না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে লভ্যাংশ সমানভাবে ভাগ করে নেওয়ার শর্ত করা শরিয়তসম্মত হয়নি।
তবে এ শর্তের কারণে মূল চুক্তি বাতিল হবে না, বরং চুক্তি বহাল থাকবে। তবে আপনি লভ্যাংশের ৪০ শতাংশ নিতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি নেওয়া জায়েয হবে না।
আরও দ্রষ্টব্য, আন-নিহায়া ফি শারহিল হিদায়া, ১২/১৭৩; আন-নাহরুল ফায়িক, ৩/৩০১; আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যা, ২/৩২০
১২২ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২১২ টি প্রশ্ন আছে
২৪ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
৩০ টি প্রশ্ন আছে
৫৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৯ টি প্রশ্ন আছে
১৪১ টি প্রশ্ন আছে
২১৫ টি প্রশ্ন আছে
৮২ টি প্রশ্ন আছে