প্রশ্ন : অনেক সময় আমরা মসজিদে গিয়ে দেখতে পাই যে, ইমাম সাহেব সেজদায় আছেন। ইমাম সাহেবকে এমন অবস্থায় পেলে আমি তৎক্ষণাৎ ইমামের সঙ্গে সেজদায় শরিক হই। কিন্তু অনেক মানুষ তৎক্ষণাৎ শরিক না হয়ে ইমামের রাকাত শেষ করার অপেক্ষা করে। এমন মুহূর্তে করণীয় আসলে কী? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর : ইমামকে সেজদারত অবস্থায় পেলে তখনই সালাত শুরু করে ইমামের সঙ্গে সেজদায় শরিক হবে। ইমামের রাকাত শেষ করার অপেক্ষা করবে না। এটাই নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা। আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِذَا جِئْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ وَنَحْنُ سُجُوْدٌ فَاسْجُدُوْا، وَلَا تَعُدُّوْهَا شَيْئًا، وَمَنْ أَدْرَكَ الرَّكْعَةَ، فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ.
অর্থ : তোমরা সালাতে এসে যদি আমাদেরকে সেজদারত দেখতে পাও, তবে তোমরাও সেজদা করবে। তবে একে (রাকাত) গণ্য করবে না। বস্তুত যে (ইমামের সঙ্গে) রুকু পেল, সে ওই সালাত (রাকাত) পেল। [সুনানু আবি দাউদ, ৮৯৩; সহিহ ইবনি খুযাইমা, ১৬২২]
আরেক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِذَا وَجَدْتُمُ الْإِمَامَ قَائِمًا فَقُوْمُوْا، أَوْ قَاعِدًا فَاقْعُدُوْا، أَوْ رَاكِعًا فَارْكَعُوْا، أَوْ سَاجِدًا فَاسْجُدُوْا، أَوْ جَالِسًا فَاجْلِسُوْا.
অর্থ : ইমামকে দাঁড়ানো অবস্থায় পেলে দাঁড়িয়ে যাবে, বসা অবস্থায় পেলে বসে যাবে, রুকুতে পেলে রুকুতে শরিক হবে, সেজদায় পেলে সেজদায় শরিক হবে আর বৈঠকে পেলে বৈঠকে শরিক হবে। [মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৩৪৮৯]
এ হাদিস দুটি থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমামকে সেজদারত অবস্থায় পেলে তৎক্ষণাৎ সালাতে প্রবেশ করে সেজদায় শরিক হয়ে যাওয়াই সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি। অনেক মানুষ যে ইমামের রাকাত শেষ করার অপেক্ষা করে থাকে— তা সঠিক পদ্ধতি নয়।
উল্লেখ্য, সেজদায় শরিক হলে যদিও রাকাত পেয়েছে বলে গণ্য হয় না। তবে এ সেজদার বিনিময়ে প্রভূত সওয়াব লাভ হয়। সাওবান রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَسْجُدُ لِلّٰهِ سَجْدَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيْئَةً.
অর্থাৎ কোনো মুসলিম একটি সেজদা করলে বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা এক ধাপ বৃদ্ধি করেন এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। [সুনানুত তিরমিযি, ৩৮৮]
তাই সেজদায় শরিক হওয়া সম্ভব হলে তাতে অবহেলা করা উচিত নয়।
আরও দ্রষ্টব্য, সুনানুত তিরমিযি, ৫৯১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, ২৬২৪; আল-মাবসুত, ১/৩৫; আল-ফাতাওয়াল হিন্দিয়্যা, ১/৯১
১২২ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২১১ টি প্রশ্ন আছে
২৩ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৭ টি প্রশ্ন আছে
৫৪ টি প্রশ্ন আছে
১৩৫ টি প্রশ্ন আছে
১৯৯ টি প্রশ্ন আছে
৮০ টি প্রশ্ন আছে