প্রশ্ন : ইদানীং নারীদের মধ্যে সার্জারি করে চেহারায় নতুন শেপ দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা কতটুকু শরিয়তসম্মত?
উত্তর : নিছক সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সার্জারি করে চেহারায় নতুন শেপ দেওয়া জায়েয নয়। এটা ‘আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতিসাধন’-এর শামিল, যা হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসের ভাষ্যমতে এটা অভিসম্পাতযোগ্য কাজ। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْوَاشِمَاتِ، وَالْمُتَفَلِّجَاتِ، وَالْمُتَنَمِّصَاتِ، وَالْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ.
অর্থ : রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন ওই নারীদের ওপর, যারা উল্কি অঙ্কন করে অথবা ভ্রুয়ের লোম তোলে অথবা দাতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে এবং এভাবে আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি সাধন করে। [সুনানুন নাসায়ি, ৫২৫৩]
এছাড়া ‘আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতিসাধন’-এর মাধ্যমে শয়তানের প্রতিজ্ঞার বাস্তবায়ন ঘটানো হয়। শয়তান যখন মহান আল্লাহর দরবার থেকে বিতারিত হয়, তখন সে শপথ করে বলেছিল,
وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ.
অর্থ : আর আমি তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে। [সুরা নিসা, ১১৯]
অতএব, আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতিসাধন জায়েয নয়। আর সার্জারির ফলে যেহেতু আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি ঘটে, তাই নিছক সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য চেহারা সার্জারি করা জায়েয হবে না।
তবে কারও চেহারা যদি জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক ত্রুটিযুক্ত হয় অথবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে ত্রুটিযুক্ত হয়ে পড়ে, তবে সার্জারির মাধ্যমে ত্রুটি দূর করে চেহারার স্বাভাবিকীকরণ জায়েয হবে।
আরও দ্রষ্টব্য, সহিহ বুখারি, ৫৯৩১; সহিহ মুসলিম, ২১২৫; তাফসিরুল কুরতুবি, ৫/৩৯৩; নাইলুল আওতার, ৬/২২৯
১২১ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৯ টি প্রশ্ন আছে
২৩ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৪ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯৮ টি প্রশ্ন আছে
৮০ টি প্রশ্ন আছে