প্রশ্ন : কুরআনুল কারিমকে ভালোবেসে চুম্বন করা কিংবা বুকে নেওয়া কি জায়েয?
উত্তর : কুরআনুল কারিমের প্রতি ভালোবাসা রাখা মুমিনের অপরিহার্য কর্তব্য, বরং এটা মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَعْلَمَ أَنَّهُ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ، فَلْيَنْظُرْ فَإِنْ كَانَ يُحِبُّ الْقُرْآنَ فَهُوَ يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم.
অর্থ : যে ব্যক্তি এটা যাচাই করতে চায় যে, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে ভালোবাসে কিনা, সে যেন কুরআনের দিকে দৃষ্টি দেয়। যদি সে কুরআনকে ভালোবাসে, তবে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকেও ভালোবাসে। [আল-মুজামুল কাবির, ৮৬৫৭]
আরেক বর্ণনায় এসেছে যে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআনকে ভালোবাসে ও কুরআনকে পছন্দ করে, সে কল্যাণের মধ্যে রয়েছে। [আল-মুজামুল কাবির, ৮৬৫৬]
আর কুরআনুল কারিম চুম্বন করা কিংবা বুকে ধারণ করা মূলত কুরআনের প্রতি ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। সুতরাং ভালোবাসা প্রকাশার্থে কুরআনুল কারিম চুম্বন করা কিংবা বুকে নেওয়া জায়েয। অনেক আলেম এটাকে মুস্তাহাবও বলেছেন। তবে যেহেতু চুম্বন করে কিংবা বুকে ধারণ করে কুরআনুল কারিমের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের বিশেষ কোনো নির্দেশনা কুরআন-হাদিসে পাওয়া যায় না, তাই এটাকে শরিয়তের নির্দেশ মনে করা যাবে না।
উল্লেখ্য, চুম্বন করা কিংবা বুকে নেওয়ার মাধ্যমে কুরআনের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ করা যদিও প্রশংসনীয়। তবে এর চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো কুরআনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং কুরআনের শিক্ষার আলোকে জীবন আলোকিত করা, বরং এটাই হবে কুরআনুল কারিমের প্রতি প্রকৃত ভালোবাসার প্রকাশ।
আরও দ্রষ্টব্য, রাদ্দুল মুহতার, ৬/৩৮৪; আল-আদাবুশ শারইয়্যাহ, ২/২৮৩; ফাতহুল বারি, ৩/৪৭৫; তুহফাতুল মুহতাজ, ১/১৫৫
১২১ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৮ টি প্রশ্ন আছে
২৩ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৪ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯২ টি প্রশ্ন আছে
৭৮ টি প্রশ্ন আছে