প্রশ্ন : মুহতারাম, চাকরিসূত্রে সউদি আরব এসে কেউ যদি হজ করে, তবে কি তার ফরজ হজ আদায় হবে?
অনেকে বলে থাকেন যে, যারা চাকরিসূত্রে সৌদি আরব এসে হজ করেন আর যারা বাংলাদেশ থেকে হজের উদ্দেশ্যে এসে হজ করেন, এই দুই হজ সমান নয়। দুই হজে ব্যবধান আছে? এ কথা কতটুকু সঠিক?
উত্তর : বাইতুল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছার মতো আর্থিক সংগতি রয়েছে, এমন মানুষের ওপর হজ করা ফরজ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلِلّٰہِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الۡبَیۡتِ مَنِ اسۡتَطَاعَ اِلَیۡہِ سَبِیۡلًا
অর্থ : মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ্জ করা ফরয।
[আলে ইমরান, ৯৭]
আর ফরজ হজ আদায় করার জন্য মাতৃভূমি থেকে সফর করে যাওয়া জরুরি নয়, বরং যে কোনো স্থান থেকে বাইতুল্লাহ পৌঁছে যথানিয়মে হজ পালন করলেই ফরজ হজ আদায় হয়ে যায়। কেউ চাকরিসূত্রে সউদি গিয়ে হজ করলেও ফরজ হজ আদায় হয়ে যায়। উদাহরণত মসজিদের মেরামতের কাজে নিয়োজিত রাজমিস্ত্রি যেমন আজান হওয়ার পর মসজিদেই সালাত আদায় করতে পারেন। অনুরূপ চাকরিসূত্রে সউদি আরব গমনকারী ব্যক্তিও সউদি থেকেই হজ করতে পারবেন।
সুতরাং চকিুরসূত্রে সউদি গমনকারী ব্যক্তি ফরজ হজ আদায় করলে তার ফরজ হজ আদায় হয়ে যাবে। তিনি হজের সওয়াবও লাভ করবেন।
তবে হজ ও উমরার ক্ষেত্রে অর্থব্যয় ও কষ্টস্বীকারের তারতম্যের কারণে সওয়াবের তারতম্য হয়ে থাকে। আয়েশা সিদ্দিকা রা. থেকে বর্ণিত, উমরা আদায়ের প্রাক্কালে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেন,
إِنَّ لَكِ مِنَ الْأَجْرِ عَلَى قَدْرِ نَصَبِكِ وَنَفَقَتِكِ.
অর্থ : নিশ্চয় তুমি সওয়াব লাভ করবে তোমার কষ্টস্বীকার ও অর্থব্যয় অনুপাতে। [মুসতাদরাকে হাকিম, ১৭৩৩]
সুতরাং অর্থব্যয় ও কষ্টস্বীকারের তারতম্যের কারণে সউদিতে কর্মরত ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ থেকে গমনকারী ব্যক্তির হজের সওয়াবে তারতম্য হতে পারে। একইভাবে ইখলাস ও নিয়তের পরিশুদ্ধির তারতম্যের কারণেও দুজনের সওয়াবের মাঝে তারতম্য হতে পারে। তবে ইখলাসের সঙ্গে হজ করে থাকলে মূল হজের সওয়াব দুজনই পাবেন।
আরও দ্রষ্টব্য, সহিহ মুসলিম, ১২১১; শারহুন নাবাবি আলা সহিহ মুসলিম, ৮/১৫২; তুহফাতুল ফুকাহা, ১/৩৭৪; ফাতহুল কাদির, ২/৪৩৭
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৪ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে