উত্তর : অমুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকে প্রচলিত রীতি অনুসারে গুড মর্নিং, গুড ইভিনিং, শুভ সকাল ইত্যাদি শব্দে অভিবাদন জানাতে সমস্যা নেই। কিন্তু সালাম (আসসালামু আলাইকুম বলা) মুসলিমদের বিশেষ অভিবাদন; ইবাদতও বটে। এ ছাড়া সালাম মহান আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর একটি। যারা মহান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখে না, তাদেরকে সালাম দ্বারা অভিবাদন জানানোর যৌক্তিকতাও নেই। এ সব কারণে কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া বৈধ নয়। রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
لَا تَبْدَءُوا الْيَهُودَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ
অর্থ : তোমরা ইহুদি-খ্রিস্টানকে প্রথমে সালাম করবে না।’ [সহিহ মুসলিম, ২১৬৭]
এ হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না। তবে সহিহ বুখারি-সহ বহু হাদিসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াসের কাছে চিঠি লিখেছিলেন, তখন তিনি তাতে ‘আস সালামু আলা মানিত তাবাআল হুদা’ শব্দে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। এ জন্য অমুসলিমকে ‘আস সালামু আলা মানিত তাবাআল হুদা’ বলে অভিবাদন জানানো যাবে।
সারকথা হলো, অমুসলিমকে গুড মর্নিং, গুড ইভিনিং, ‘আসসালামু আলা মানিত তাবাআল হুদা’ ইত্যাদি শব্দে অভিবাদন জানানো যাবে। কিন্তু সাধারণ অবস্থায় কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না। অবশ্য যদি কোথাও অমুসলিমকে সালাম না দিলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, যেমন অফিসের বস অমুসলিম, তাকে সালাম না দিলে তার রোষানলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তবে বিকল্প না থাকলে ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য তাকে সালাম দেওয়ার অবকাশ রয়েছে।
আর কোনো অমুসলিম যদি মুসলিমকে সালাম দেয়, তবে জবাবে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলতে হবে। এর চেয়ে বেশি বলা যাবে না। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فَقُوْلُوْا: وَ عَلَيْكُمْ.
অর্থ : যখন আহলে কিতাব (ইহুদি-খ্রিস্টান)-দের কেউ তোমাদেরকে সালাম দেবে, তখন তোমরা ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে। [সহিহ বুখারি, ৫৯০৩]
সূত্র : সহিহ মুসলিম, ২১৬৩; সুনানুত তিরমিযি, ১৬০২; আল-মুহিতুল বুরহানি, ৫/৩২৭; আদ-দুররুল মুখতার, পৃ. ৬৬৬; আল-কাওকাবুদ দুররি, ২/৪০৩; দালিলুল ফালিহিন, ৬/৩৪৫
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৪ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে