উত্তর : সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوا بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا
অর্থ : তোমাদেরকে যখন অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম প্রত্যাভিবাদন করবে অথবা তার অনুরূপ করবে। [সূরা নিসা : ৮৬]
এ আয়াতে অভিবাদন দ্বারা সালাম উদ্দেশ্য। আয়াতের মর্ম হলো কেউ সালাম দিলে আরও উত্তম শব্দে সালামের জবাব দিতে হবে। অর্থাৎ ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিলে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে এবং ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম দিলে ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ বলে সালামের জবাব দিতে হবে।
যদি আরও উত্তম শব্দে জবাব দেওয়া না যায়, তবে অন্তত সালামদাতা যে শব্দে সালাম দিয়েছে, অনুরূপ শব্দে জবাব দিতে হবে। অর্থাৎ ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলে সালাম দিলে জবাবে অন্তত ‘ওয়ালাকুমুস সালাম’ বলতে হবে।
আর সালামের জবাব দেওয়ার এ বিধানের ক্ষেত্রে অনলাইন ও অফলাইনের মাঝে কোনো পার্থক্য করা হয়নি।
অতএব, ম্যাসেঞ্জার, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদিতে প্রাপ্ত সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। মুখে উচ্চারণ করে কিংবা ম্যাসেজের মাধ্যমে অবশ্যই এ সালামের জবাব দিতে হবে। অন্যথায় ওয়াজিব ছেড়ে দেওয়ার গুনাহ হবে।
সূত্র : আল-আযকার, পৃ. ৩৯৫; আল-ফাতাওয়াল ফিকহিয়্যাতুল কুবরা, ৪/২৪৬; রাদ্দুল মুহতার, ৬/৪১৫
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৪ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে