সারাংশ উত্তর:
ঈদের সালাত মসজিদে আদায় না করে মাঠে আদায় করা মুস্তাহাব। এটি সুন্নাহ। প্রিয়নবি সা. এবং চার খলিফা বৃষ্টি ইত্যাদির কারণ ছাড়া সবসময় মাঠেই ঈদের সালাত আদায় করেছেন।
বিস্তারিত:
সহিহ বুখারিতে (৯৫৬) বর্ণিত হয়েছে,
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالأَضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى
“নবিজি সা. ঈদুর ফিতর এবং ঈদুল আজহায় ঈদগাহে বের হয়ে যেতেন।”
অবশ্য বৃষ্টি হওয়া বা সালাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন কিছু ঘটলে মসজিদেও ঈদের সালাত আদায় করা যাবে। আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত,
أَنَّهُمْ أَصَابَهُمْ مَطَرٌ فِي يَوْمِ عِيدٍ «فَصَلَّى بِهِمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِيدَ فِي الْمَسْجِدِ»
“এক ঈদের দিনে মদিনায় বৃষ্টিপাত হলো। তখন নবিজি সা. মদিনাবাসীদের নিয়ে মসজিদে ঈদের সালাত আদায় করেন।” (মুস্তাদরাক হাকেম: ১০৯৪)
ফতওয়া আলমগিরিতে (১/১৫০) উল্লিখিত হয়েছে,
الْخُرُوجُ إلَى الْجَبَّانَةِ فِي صَلَاةِ الْعِيدِ سُنَّةٌ وَإِنْ كَانَ يَسَعُهُمْ الْمَسْجِدُ الْجَامِعُ
মহল্লার জামে মসজিদে মুসুল্লিদে জায়গা সংকুলান হলেও ঈদের সালাতের জন্য ঈদগাহে যাওয়াটা সুন্নাহ।
সালাতের জামাত আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামী সমাজব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়। ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিকোণ হলো— একটা পাড়ার প্রতিটা ঘরের মানুষ দিনে পাঁচবার একত্রিত হয়ে আল্লাহর ইবাদাত করবে, পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবে। সেটা হলো পাঞ্জেগানা মসজিদ। আর কয়েকটা পাড়ার মানুষ একত্রিত হয়ে সপ্তাহে একবার সাক্ষাৎ করবে, একে অন্যের সাথে দেখা হবে; সেটা হলো জামে মসজিদ। ‘জামে’ শব্দের অর্থ একত্রিতকারী। আশপাশের কয়েকটি পাড়া বা মহল্লার মানুষ মিলে যেখানে নামায আদায় করবে, সেটার নাম জামে মসজিদ। আর ঈদের জামাআত হবে আরো ব্যাপক পরিসরে। কয়েকটা জামে মসজিদের মুসল্লী একত্রিত হয়ে ঈদের জামাআত আদায় করবেন। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। এই সংস্কৃতি আমাদের সমাজব্যবস্থাকে অনেক বেশি মজবুত এবং সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে।
বিখ্যাত আলেম ইবনুল হাজ (মৃ. ৭৩৭ হি.) বলেন, বহু সহিহ ও অন্যান্য হাদিস, ইসলামের প্রথম যুগের আমল এবং উলামাদের উক্তি- এই সবকিছুই প্রমাণ করে যে, উন্মুক্ত মাঠে ঈদের সালাত আদায় করা সুন্নাহ। আর এটি এমন সুন্নাহ, যাতে এলাকার পুরুষ, নারী, শিশু একত্র হয়। মনে-প্রাণে আল্লাহর সমীপে হাজির হয়। একই ধ্বনি সবাই উচ্চারণ করে। একই ইমামের পেছনে সালাত আদায় করে। তাকবির বলে। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। নিষ্ঠার সাথে আল্লাহকে ডাকে। যেন সকলে মিলে এক প্রাণ। অনন্দ মুখরিত। আল্লাহর নেয়ামতে উল্লসিত। এমনি করে ঈদ তাদের নিকট প্রকৃতই ঈদ হয়ে ওঠে। এমন দিন হয়ত আসবে, যেদিন মুসলমানগণ তাদের নবির সুন্নাহ অনুসরণে সাড়া দেবে। তাদের দীনের প্রতীক ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে। যে দীন তাদের ইজ্জত ও সাফল্যের উৎস। (ইসলাম কিউএ, ফতওয়া নং 49050)
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৪ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে