উত্তরের সারাংশ:
কাউকে বঞ্চিত করা বা ঠকানোর ইচ্ছা না থাকলে মেয়ের নামে সব সম্পত্তি লিখে দেওয়া বৈধ হবে। কাউকে বঞ্চিত করার জন্য এটা করা হলে তা হবে গর্হিত পাপ কাজ। তবে মেয়ের নামে সবকিছু লিখে দেওয়া সুন্নাহসম্মত পদ্ধতি নয়। সুন্নাহ হলো, আল্লাহ যার জন্য সম্পত্তির যে অংশ নির্ধারণ করেছেন তাকে ততটুকুই প্রদান করা।
বিস্তারিত:
মহান আল্লাহ বলেন,
آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَاؤُكُمْ لَا تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعًا ۚ فَرِيضَةً مِنَ اللَّهِ
“তোমাদের পিতামাতা ও সন্তানদের মধ্যে উপকারের দিক থেকে কে বেশি আপন, তা তোমরা জানো না। এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান।” (সুরা নিসা, আয়াত: ১১) এই আয়াতের আলোকে বুঝা যায়, সম্পত্তি বণ্টনে ক্ষেত্রে আল্লাহ যার জন্য যতটুকু অংশ নির্ধারণ করেছেন, তার ততটুকুই পাওয়া উচিত। নিজে থেকে বণ্টনে হস্তক্ষেপ করা ভালো নয়।
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে একমাত্র মেয়েকে সকল সম্পত্তি লিখে দেওয়াটা দুইভাবে হতে পারে। প্রথমত, এমনভাবে লিখে দেওয়া যে, মৃত্যুর পর এ সম্পত্তি মেয়ে পাবে। এই পদ্ধতি মূলত ওসিয়ত। আর উত্তরাধিকারীর জন্য ওসিয়ত করা যায় না। প্রিয় নবি সা. বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا وَصِيَّةَ لِوَارِثٍ
“আল্লাহ প্রত্যেক হকদারকে তার হক প্রদান করেছেন। সুতরাং উত্তরাধিকারীর জন্য কোনো ওসিয়ত নেই”। (আবু দাউদ: ২৮৭০; তিরমিজি: ২১২১)
দ্বিতীয়ত, জীবদ্দশাতেই মেয়ের নামে সবকিছু লিখে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হিবা বা দান। কোনো ব্যক্তি জীবদ্দশায় সুস্থ থাকাকালীন তার আংশিক বা সকল সম্পদ যে কাউকে দান করে যেতে পারেন। তবে এ দানের মাধ্যমে যদি কোনো উত্তরাধিকারকে বঞ্চিত করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে এই বঞ্চিত করাটা কবিরাহ গুনাহ বলে গণ্য হবে। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, কারোর ক্ষতি করার জন্য ওসিয়ত করা কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৩০৯৩৩)।
وَلَوْ وَهَبَ فِي صِحَّتِهِ كُلَّ الْمَالِ لِلْوَلَدِ جَازَ وَأَثِمَ
যদি কেউ সুস্থাবস্থায় নিজ সন্তানতে সব সম্পদ দিয়ে দেয় তা বৈধ হবে কিন্তু অন্যায্য হবে (রদ্দুল মুহতার, ৫: ৬৯৬)
১২০ টি প্রশ্ন আছে
৬০ টি প্রশ্ন আছে
১২১ টি প্রশ্ন আছে
২০৪ টি প্রশ্ন আছে
২২ টি প্রশ্ন আছে
৭৯ টি প্রশ্ন আছে
২৮ টি প্রশ্ন আছে
৫৬ টি প্রশ্ন আছে
৫৩ টি প্রশ্ন আছে
১৩৪ টি প্রশ্ন আছে
১৯০ টি প্রশ্ন আছে
৭৭ টি প্রশ্ন আছে